প্রথম এবং শেষ বিকেল

 প্রথম বিকেলের আবেশ,শেষ বিকেলের বিদায়😅

আমরা বন্ধুরা এবং আমাদের ছোট এবং বড় ভাই

রাজশাহী

রাজশাহী আমার হৃদয়ের গহীনে থাকা একটি শহর। এখানেই আমার শৈশবের স্বপ্ন বোনা শুরু হয়েছিল, আর কিশোর জীবনের অর্ধেক সময় কাটিয়ে দিয়েছি এই শহরের কোলেই। ঢাকার কোলাহল থেকে দূরে, রাজশাহী যেন এক জাদুকরি শহর—পরিচ্ছন্ন পথঘাট, মিষ্টি হাওয়া, আর শীতল বাতাসের মনোমুগ্ধকর আবেশে ভরা। যদিও এখানে রয়েছে অসহনীয় গরমের কড়া স্পর্শ, কিন্তু সেই তাপও যেন এখন অভ্যাসে পরিণত।


প্রথমবার যখন এই শহরে পা রাখি, তখন এতকিছু ছিল না। সময়ের চক্রে বদলে গেছে শহর, আর সাথে বদলেছে আমার জীবনও। চেনা পথঘাট, মমতায় জড়ানো মানুষগুলো, বন্ধুদের হাসি আর গল্পে ভরা দিনগুলোর কথা মনে হলে যেন মনে হয়, কত গভীরেই না গেঁথে আছে এই শহর আমার জীবনে।


সেই পথঘাটে হাঁটতে হাঁটতে দেখা হতো বড় ভাইদের, সালাম বিনিময় আর হালকা কথোপকথন চলত—এরপরেই হয়তো কোনো বন্ধুর সঙ্গে হঠাৎ দেখা হয়ে যেত। আড্ডার যেন শেষই নেই, বিকেল হলেই আনন্দের ঢেউ আছড়ে পড়ত সবার মাঝে। 


প্রথম যেদিন এই শহরে এসেছিলাম, সেই দিনগুলো আমার মনের গহীনে মুদ্রিত আছে, যদিও সেগুলো ক্যামেরাবন্দী করতে পারিনি। কিন্তু শহর ছেড়ে যাওয়ার ঠিক আগের সেই শেষ বিকেলটাকে ক্যামেরায় ধরে রেখেছি—রাজশাহী শহরের মায়ায় ভেজা এক স্মৃতির প্রতিচ্ছবি।রাজশাহী শহরের শেষ বিকেল বেলাঃ

............................................................................................

রংপুর(লোকে বলে অংপুর)

রংপুরে পা রাখার পর যেন জীবনের গতিপথটাই বদলে গেল। রাজশাহী থেকে বিদায়ের পর এখানে এসে দুইদিন ঘরের চার দেয়ালের মধ্যেই কাটল, বাইরে বেরোইনি। এরপর অবশেষে ফিরে গেলাম আমার জন্মনগরীতে। একমাস পরে আবার ফিরে এলাম রংপুরে। এভাবে ছিন্ন-বিচ্ছিন্নভাবে নতুন জীবন শুরু করতে গিয়ে নানা জটিলতায় পড়তে হলো। জীবনের এই টুকরো টুকরো পরিবর্তন কেউ বুঝবে না, কারণ যার ওপর দিয়ে যায়, সেই বোঝে।


রংপুরে আসার পর মাদ্রাসায় ভর্তি হলাম, তবে মাত্র ১৫ দিন ক্লাস করেই আবার বিরতি। প্রথম কিছুদিন একা একা চুপচাপ ক্লাস করেছি, অন্যরা তাদের আনন্দে মেতে থাকলেও আমি নিঃশব্দে নিজেকে খুঁজে ফিরতাম। ধীরে ধীরে ২-৩ জনের সাথে বন্ধুত্ব হলো, তাতে মনে হলো হয়তো একা লাগবে না আর। তবে ক্লাসের বাইরে টিউশনের জন্য শিক্ষক খুঁজতে গিয়ে আরও ঝামেলা বাড়ল, হাতে সময়ের যেন ঘাটতি নেই আর পড়াশোনাও ঠিকমতো করতে পারছি না। পাঁচ মাস হয়ে গেছে, তেমন কিছুই শেখা হয়নি—শুধু ঘোরাঘুরিই হয়েছে।


এসএসসিতে সায়েন্স নেওয়ার ইচ্ছে ছিল, কিন্তু নতুন মাদ্রাসায় এসে বুঝলাম আরবি বিষয়ে আমার তেমন দক্ষতা নেই। যে শিক্ষককে পেলাম, তিনি বললেন সায়েন্স নিলে সব বিষয়ে কভার করা কঠিন হবে, তাই আমাকে আর্টস নিতে পরামর্শ দিলেন এবং আরবি শেখায় আরও মনোযোগী হওয়ার পরামর্শ দিলেন। আশপাশের অনেকে বলছে, হয়তো আরও এক বছর একই ক্লাসে থাকতে হবে, যা ভীষণ অনিশ্চয়তার সৃষ্টি করছে।


রংপুরে এসে এখনো সেভাবে শহরটা দেখা হয়নি। দিনগুলোর বেশিরভাগই বাসায় কাটছে। এমনও সময় গেছে, টানা ছুটির ছয় দিন একবারও বাসার বাইরে পা রাখিনি। দিনের পর দিন নিজ ঘরের চার দেয়ালে শুয়ে-বসে সময় কেটে যায়। সবকিছু স্বাভাবিক হতে হয়তো আরও সময় লাগবে, তাই ধৈর্য ধরা ছাড়া উপায় নেই।  


"ইন্নাল্লাহা মা'আস সবিরীন" অর্থাৎ, নিশ্চয়ই আল্লাহ ধৈর্যশীলদের সাথেই আছেন। তাই যত কঠিন পরিস্থিতিই আসুক, আল্লাহর ওপর ভরসা রেখে ধৈর্য ধরে এগিয়ে যেতে হবে। যারা আমার জীবনে একসময় ছিল, হয়তো অনেকেই এখন ভুলে গেছে, কিন্তু আমি নিজেকে এই পরিবর্তনের পথে খুঁজে চলেছি—সবসময় আল্লাহর সাহায্য ও ধৈর্যকে সঙ্গী করে।

রংপুরের প্রথম বিকেলবেলাঃ


However,May you all stay well, and please keep me in your prayers. I’ll be praying for you, too. I hope we meet again someday, perhaps after a long time. It might not be possible to see everyone, but for those I deeply wish to reunite with, I trust that moment will come.


I’m also holding onto a thought—that I won’t see my friends again until 2027. I want that day to be special, a day when I can truly see if they’ve kept me in their memories. In the past, was I able to leave a lasting mark in their lives?

A great afternoon with shahi...Itz Just an video but we always fight together.. But now......


Allah Hafez...

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url