একসাথে আমরা

একসাথে আমাদের পরিচয়ঃ

২০২৪ এর দশম শ্রেণির বিদায়
বিদ্র:আমরা নবমের

বন্ধুত্ব হলো এমন এক সম্পর্ক, যা রক্তের সম্পর্ক ছাড়াও হৃদয়ের বন্ধনে গাঁথা। বন্ধুরা আমাদের জীবনে আনন্দ আনে, দুঃখ ভাগ করে নেয়, এবং প্রতিটি মুহূর্তকে স্মরণীয় করে রাখে। জীবনের প্রতিটি বাঁকে বন্ধুরাই হয়ে ওঠে সাহচর্যের অবিচ্ছেদ্য অংশ। 


বন্ধুত্বের পরিচয় আসলে তাদের মধ্যে পাওয়া যায়, যারা সুখে-দুঃখে পাশে থাকে, কোনো কারণ ছাড়াই আমাদের হাসাতে জানে, এবং আমাদের ভুলগুলো সঠিক পথে পরিচালিত করতে সাহায্য করে। বন্ধুরা কেবল সঙ্গী নয়, তারা জীবনের সহযাত্রী, আমাদের গল্পের অন্যতম অংশ।  


বন্ধুত্ব এমনই একটি সম্পর্ক, যেখানে কোন চাওয়া-পাওয়া নেই, শুধুই একে অপরের প্রতি ভালোবাসা আর নির্ভরতার বন্ধন।

বিদ্রঃ এই ওয়েবটি পাবলিক হলেও আমার ছেড়ে আশা বন্ধুত্বটা এক পলক দেখার সুযোগ মাত্র

চলুন শুরু করি পরিচয়ঃ

স্বাধীনঃ Click Here

গ্রামঃ শ্রীপুর,রাজশাহী  

স্কুলঃনওহাটা ছালেহিয়াদারুচ্ছুন্না সিনিয়র ফাযিল মাদ্রাসা

বর্তমানঃ ভোকেশনাল স্কুল
রোল নংঃ ১৯
ছেলে হিসেবে কেমনঃ স্বাধীন—একজন এমন বন্ধু, যার সম্পর্কে কথা বলতে গেলে শুরুতেই বলতে হয়, সে একজন "নাড়িতে আসক্ত," তবে সেটা প্রকাশ করতে ভয় পায়। ভীতুদের মধ্যে অন্যতম, আর টাকা ধার নিলে ফেরত দেয়ার বিষয়ে বিশেষ আগ্রহী নয়। খেলাধুলায় ভালো, তবে লজ্জা নামক বিষয়টা তার অভিধানে নেই। মাঝে মাঝে এমন কিছু বলে বসে, যাতে পুরো ফ্রেন্ড সার্কেল তার উপর রেগে যায়। 
একটা বিশেষ ঘটনা মনে পড়ে—কিছু মাস আগে আমরা সবাই মিলে কেক কাটছিলাম। সালমানের জন্মদিন আর পেজের ফলোয়ার বাড়ার খুশিতে এই আয়োজন। হঠাৎ ধরা পড়ে গেলাম। জিজ্ঞেস করা হলো, “কিসের কেক কাটা হচ্ছে?” তখন শুধুমাত্র পেজের ফলোয়ার বাড়ার কারণটাই বললাম। কিন্তু যখন সবাইকে জিজ্ঞেস করা হলো, "কে কে পেজের মেম্বার?" সবাই একযোগে বলল তারা পেজের মেম্বার। শুধু স্বাধীন সোজাসাপ্টা বলে দিল, "আমি না।" ব্যস, আর যায় কোথায়—সবাই তার ওপর ক্ষেপে গেল! 
এমন ঘটনাগুলো তার জীবনে প্রায়ই ঘটে। মাঝে মাঝে তার কথাগুলো এতটাই আঘাতমূলক বা উদ্ভট হয়ে যায় যে, পুরো ফ্রেন্ড সার্কেল তার ওপর রেগে ওঠে। তবে ছেলে হিসেবে খারাপ না। যদিও কেউ যদি তাকে "১০ এ ০" দিয়ে মূল্যায়ন করে, সেটা অনেকটা মজার ছলেই।  
আমাদের ফ্রেন্ড সার্কেলের শুরুতে সে ছিল না। কেন ছিল না, তার পেছনে কারণ একটাই—তখন তার স্বভাব ছিল আরও বাজে। সে আমাদের সঙ্গে থাকতে থাকতে অনেকটাই বদলে গেছে। এখন সে আমাদের মতো হয়েছে এবং ফ্রেন্ড সার্কেলে মানিয়ে নিতে পেরেছে।  
সব মিলিয়ে, স্বাধীন একটু অন্যরকম, মাঝেমধ্যে অসাবধানী, কিন্তু বন্ধুত্বের ক্ষেত্রে সে খারাপ না। কিছুটা রাগ-অনুরাগ আর মজা-মশকরা নিয়েই সে আমাদের জীবনের একটা অংশ।
ভদ্র ছেলে স্বাধীন

সালমানঃ Click Here

গ্রামঃ শ্রীপুর,রাজশাহী 
স্কুলঃ নওহাটা ছালেহিয়াদারুচ্ছুন্নাত সিনিয়র ফাযিল মাদ্রাসা
বর্তমানঃ ভোকেশনাল স্কুল
রোল নংঃ ১০
ছেলে হিসেবে কেমনঃ তার নিজের দাবি, সে বন্ধুত্ব নিয়ে বেশ সিরিয়াস। তবে সিরাজ স্যার যখন তাকে "রোমান্টিক বয়" হিসেবে ট্যাগ দিলেন, সেটাও নেহাত মিথ্যা নয়! প্রথমবার দেখলে যে কেউই তাকে ভদ্র, নম্র, এবং শান্তশিষ্ট একজন মানুষ মনে করবে। কিন্তু বাস্তবিক অর্থে, এই ভাবমূর্তিটা শুধু বাইরের মানুষের জন্য। তার পরিবার আর আমাদের ফ্রেন্ড সার্কেলের সামনে এই "ভালোমানুষি" কোনো সুযোগই পায় না।  ফ্রেন্ড সার্কেলের মধ্যে সে একজন শীর্ষস্থানীয় ব্যক্তি, যে নিজে কোনো ঝামেলায় থাকে না, বরং অন্যদের ঝামেলা মেটাতে সবসময় প্রস্তুত। তবে মজার ব্যাপার হলো, নিজের ঝামেলায় পড়লে সেগুলো ঠিক করার জন্য কাউকে পাওয়া যায় না। বেশিরভাগ সময় আমাকেই (সাব্বির) এগিয়ে এসে তার সমস্যাগুলো মেটাতে হয়। কারণ, ফ্রেন্ড সার্কেল একত্রে ঝামেলা মেটালেও সেটা সহজে সম্ভব হয় না। এর পেছনে একটা কারণও আছে—আমি তার কাছে "রেয়ার," আর সে আমার কাছে।  
আমার ব্যক্তিগত দৃষ্টিকোণ থেকে বলতে গেলে, সে একমাত্র ব্যক্তি যে আমার কথাগুলোকে সত্যিই মূল্য দেয়। তার সামনে আমার চিন্তাধারা প্রকাশ করতে কখনো কোনো দ্বিধা অনুভব করি না। সে সবসময় আমাকে বুঝতে চায় এবং সম্মান করে।  
আর তার মাথায় যেই টুপিটা দেখছেন, সেটা কিন্তু সালমানের একটা বিশেষ আলামত। সেই টুপি যেন তার পরিচয়েরই একটা অংশ হয়ে গেছে, যেটা প্রায়ই সে মাথায় পরিধান করে থাকে।  
সব মিলিয়ে, সে আমাদের ফ্রেন্ড সার্কেলের এমন একজন ব্যক্তি, যাকে এক কথায় ব্যাখ্যা করা মুশকিল। বন্ধুত্বের জন্য তার আন্তরিকতা আর বন্ধুদের প্রতি তার দায়িত্ববোধ তাকে সত্যিই বিশেষ করে তোলে।
রোমান্টিক বয় সালমান

ইসমাইলঃ Click Here

গ্রামঃ বায়া,বাজার
স্কুলঃ নওহাটা ছালেহিয়াদারুচ্ছুন্নাত সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসা
বর্তমানঃ ×
রোল নংঃ ৪
ছেলে হিসেবে কেমনঃ ছেলে হিসেবে মোটামুটি ভালোই। মেধা দারুণ, তবে চিন্তাভাবনায় একটু সমস্যা রয়েছে। কখনো কখনো অতিরিক্ত চিন্তার কারণে কারো বিশেষ দিনেও তাকে পাওয়া যায় না। মুরসালিনের প্রভাবের বাতাস লেগেছে বলে মনে হয়—আগে যেসব বিষয়ে কিছু বলত না, এখন হুটহাট আজব প্রশ্ন করে বসে, যা তার স্বভাবের সঙ্গে একেবারেই যায় না। ঝামেলা করা বা মিটানো, কোনোটাতেই তার আগ্রহ নেই; সে বরং স্বাভাবিকভাবে থাকতে বেশি পছন্দ করে। 
এতে ভুল বোঝার দরকার নেই—বন্ধু হিসেবে সে সবসময় পাশে থাকে। যদিও কিছু সময় অদ্ভুত কারণে, কিংবা কোনো কারণ ছাড়াই ছোটখাটো বিষয়ে তার অনুপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। খেলাধুলায় বরাবরই সে চমৎকার। শান্ত, নম্র, তবে আমাদের সামনে কখনো কখনো একটু অভদ্র (মুরসালিনের বাতাসের প্রভাব!)।  
পুরো ফ্রেন্ড সার্কেলের মধ্যে তাকে সবাই “রেয়ার” বন্ধু মনে করে। কারণ, তার সঙ্গে কারো কোনো দ্বিধা-দ্বন্দ্ব বা ঝামেলা নেই। হতে পারে দু-একবার ব্যতিক্রম হয়েছে, তবে তা এমন সামান্য যে হিসাবেই ধরা যায় না। তবে আজকাল তাকে দেখে মনে হয় যেন কোথাও হাওয়ায় ভাসছে—একটু অন্যরকম হয়ে গেছে। 
সব মিলিয়ে, সে একজন বিশ্বস্ত এবং নির্ভরযোগ্য বন্ধু, যার উপস্থিতি আমাদের আড্ডা বা জীবনে আলাদা এক উজ্জ্বলতা যোগ করে।
মুরসালিনের বাতাস লেগে যাওয়া বালক ইসমাইল 

সাব্বিরঃ Click Here

গ্রামঃ পূর্ব পুঠিয়া পাড়া(অস্থায়ী) বর্তমান রংপুর মর্ডান মোড় স্কুলঃ নওহাটা ছালেহিয়াদারুচ্ছুন্নাত সিনিয়র ফাযিল মাদ্রাসা 
বর্তমানঃ মুলাটোল মদিনাতুল উলুম কামিল (এমএ)মাদ্রাসা,রংপুর
রোল নংঃ ২
ছেলে হিসেবে কেমনঃ (upcoming)
বহুরুপি নামে খ্যাতিমান সাব্বির


 হোসাইনঃ Click Here

গ্রামঃ পূর্ব পুঠিয়া পাড়া
স্কুলঃ নওহাটা ছালেহিয়াদারুচ্ছুন্নাত সিনিয়র ফাযিল মাদ্রাসা 
বর্তমানঃ ×
রোলঃ ৭
ছেলে হিসেবে কেমনঃ হোসাইনের কথা উঠলেই সবার আগে তার পরিচয় হয়ে যায় একজন ব্যবসায়ী হিসেবে, কারণ তার বাবাও একজন ব্যবসায়ী। কোনো মজার মুহূর্তে, যখন আমরা সবাই রাস্তা দিয়ে হেঁটে গল্প করি, তখন কোনো পরিচিত কাকার দেখা পেলেই হোসাইন হুট করে ব্যবসার প্রসঙ্গ তুলে বসে। একবার কী হলো—ছুটির দিনে আমরা সবাই প্রাইভেট শেষে চায়ের দোকানে আড্ডা দিতে গিয়েছিলাম। সেখানে এক পরিচিত লোকের সঙ্গে দেখা হতেই হোসাইন বলে উঠল, “কাকা, ওইদিন তো বাড়ির ছাদ ঢালাই দিলাম।” এরপর শুরু হলো খরচপাতি আর হিসাবের গল্প। শুধু তাই নয়, তার বাবা যেহেতু মাছে ব্যবসা করেন, সেই ব্যবসাতেও হোসাইনের সক্রিয় অংশগ্রহণ আছে। তাই কাকার সঙ্গে মাছের ব্যবসা নিয়েও আলাপ শুরু করল—লাভ-লস, সবকিছু নিয়েই বিশদ আলোচনা। আমরা তখন শুধু হোসাইনের দিকে তাকিয়ে থাকলাম। শেষে আমি (সাব্বির) মজা করে ওকে আমাদের ফ্রেন্ড সার্কেলে “ব্যবসায়ী” উপাধি দিয়ে দিলাম।
ব্যক্তিগতভাবে হোসাইন আমার কাছে একজন বিশেষ ব্যক্তি। সে একমাত্র বন্ধু, যার পরিবারের অর্ধেক মানুষই আমাকে চেনে। হোসাইনের নানুর প্রতি আমি গভীরভাবে কৃতজ্ঞ। তিনি আমাকে সবসময় ভালো কিছু উপদেশ দিয়েছেন, যা আজও আমার মনে গেঁথে আছে। তবে একই সঙ্গে ক্ষমাও চেয়ে নিচ্ছি, কারণ স্থানান্তরিত হওয়ার আগে শেষবারের মতো তার সঙ্গে দেখা করতে পারিনি। আসলে তখন অনেকের সঙ্গেই বিদায়ী দেখা করা হয়নি। 
হোসাইন শুধু একজন ব্যবসায়ী-মনস্ক মানুষই নয়, সে একজন স্নেহশীল এবং বিশ্বস্ত বন্ধু, যার উপস্থিতি আমাদের আড্ডায় এক নতুন মাত্রা যোগ করে।
ব্যবসায়ী বড় ভাই হোসাইন

মুরসালিনঃ Click Here

গ্রামঃ দুয়ারী
স্কুলঃ নওহাটা ছালেহিয়াদারুচ্ছুন্নাত সিনিয়র ফাযিল মাদ্রাসা 
বর্তমানঃ ×
রোলঃ ২
ছেলে হিসেবে কেমনঃ মুরসালিন আমাদের বন্ধুদের মধ্যে একজন অনন্য মানুষ। ছেলেটা সবার সাথে ভালো, তবে মাঝে মাঝে কোথায় কী বলতে হয় সেটা বুঝতে না পেরে মুখ ফসকে যা খুশি বলে ফেলে। খেলাধুলায় সে সবার সেরা। মাদ্রাসায় ভালো ছাত্র হলেও শিক্ষকদের সামনে বেয়াদব বন্ধুদের নেতা হিসেবে পরিচিত। আসলে আমরা সবাই একসঙ্গে আছি, আর এমন হবেই না কেন? তার তো ইচ্ছা সেনাবাহিনীতে যোগ দেওয়ার। তবে সেনাবাহিনীতে ঠিক কী হবে সেটা নিয়ে এখনো ভাবেনি, সময় হলে জানা যাবে। 
মুরসালিনের জীবনে একটা বড় পরিবর্তন আসে, যখন সে তার খুব পছন্দের একজন মানুষকে হারায়। এরপর সে বদলে যায়। ব্যক্তিগতভাবে, মুরসালিনই একমাত্র বন্ধু যার সঙ্গে (আমি, সাব্বির) মাঝে মাঝে ছোটখাটো ঝামেলা হয়। কিন্তু কিছুক্ষণ পরেই সব ঠিক হয়ে যায়। বন্ধুদের মধ্যে দাপট দেখানোর ক্ষেত্রে সে প্রথম। বলতে গেলে, আমাদের সার্কেলের বন্ধুগুলোর মজার এবং কিছুটা বান্দরের মতো স্বভাব তার মধ্যেও আছে। 
তবে মুরসালিনের ভালো দিকগুলো সীমাহীন। ইসলামিক নিয়ম-কানুন মেনে চলা এই ছেলেটি কারও মেয়েকে বিয়ে করতে হলে আগেই রাজি। সে আমাদের ফ্রেন্ড সার্কেলের এমন একজন প্রাণবন্ত সদস্য, যার মধ্যে সব কাজ করার শক্তি সবসময় থাকে। মজার ব্যাপার হলো, গোটা ফ্রেন্ড সার্কেল যেখানে সবাই একে অপরকে "তুমি" বলে ডাকে, সেখানে মুরসালিনকে সবাই "তুই" বলে সম্বোধন করে। ক্লাসে যদি সে কোনো দিন চুপচাপ থাকে, সবাই চিন্তায় পড়ে যায়—“মুরসালিনের কী হলো?” তারপর সবাই সেটা নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটি শুরু করে। 
মুরসালিন আমাদের মাঝে এমন একজন বন্ধু, যার অনুপস্থিতি বা নীরবতা আমাদের অস্বস্তিতে ফেলে দেয়। তার সঙ্গে কাটানো প্রতিটি মুহূর্ত আমাদের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
অবসরপ্রাপ্ত নেতা মুরসালিন 


তারপরঃ

চলুন ফিরে দেখা যাক আমাদের সেই স্মৃতিময় আড্ডাস্থলগুলো, যেখানে ক্লাসের টিফিন টাইমগুলো হয়ে উঠত জীবনের অন্যতম সেরা মুহূর্ত। প্রতিদিনের একঘেয়ে রুটিনের মাঝে এ জায়গাগুলো ছিল আমাদের মুক্তির ঠিকানা, যেখানে আমরা হাসি-আড্ডায় জীবনের আনন্দ উপভোগ করতাম।

কলেজমোড়ে সবাই মিলে যে যা পারতাম, সামান্য কিছু টাকা তুলে ঝালমুড়ি কিনতাম। সেই ঝালমুড়ির স্বাদ যেন কোনো রাজকীয় খাবারের চেয়েও বেশি সুখকর ছিল। ঝালমুড়ি খেতে খেতে কলেজমোড়ের পিছনের অলিগলিতে ঘুরতে যেতাম, যেখানে পা ফেলার সঙ্গে সঙ্গেই গল্পের এক নতুন অধ্যায় শুরু হতো। আমাদের গল্পগুলো কখনো নিছক হাসির, কখনো ভাবনার, কখনো ভবিষ্যতের স্বপ্নে বিভোর।

কখনো কখনো আমরা চলে যেতাম আরও দূরে—বিমানবন্দরের পেছনের সেই নির্জন প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে। চারপাশজুড়ে কেবল গাছপালা, কোনো বাড়িঘরের চিহ্নমাত্র নেই। সেখানকার নির্মল হাওয়া আর নিস্তব্ধ পরিবেশ যেন আমাদের ব্যস্ত জীবন থেকে একটা ছোট্ট বিশ্রামের সুযোগ দিত। ঠান্ডা বাতাস আমাদের ক্লান্তি মুছে দিত, আর প্রকৃতির স্নিগ্ধতায় আমরা যেন নতুন করে প্রাণ ফিরে পেতাম। 

টিফিন টাইমের সেই নির্ধারিত সীমা কখন যে অতিক্রম করে যেত, তা আমরা বুঝতেই পারতাম না। কারণ, আমাদের আড্ডার কোনো নির্ধারিত সময়সীমা ছিল না। সে মুহূর্তগুলো ছিল আমাদের জন্য বিশুদ্ধ আনন্দের এক অবিচ্ছেদ্য অধ্যায়, যা আজও স্মৃতিতে অমলিন।
সবসময়ের আড্ডাময় স্থান 


মার্শাল আর্ট ক্লাবে বিকেলের আড্ডা


কলেজমোড় যেখানে সবসময় মানুষের আড্ডা
বিমানবন্দরে পিছনের স্থান

সমাপ্ত.....


Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url